সংক্রামক রোগ নিয়ে গবেষণা করা যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক অ্যান্থনি ফসি মাসখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এক অন্যের সঙ্গে সম্ভাষণের মাধ্যম হিসেবে হয়ত হাত মেলানোর প্রথা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। এককথায়, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে মানুষের সামাজিক জীবন আগের তুলনায় আমূল বদলে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে লিওনেল মেসির ভাবনাও একইরকম, ফুটবল এবং সর্বোপরি জীবন আর আগের মতো হবে না বলেই তার উদ্বেগ।
এল পাইসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন তার শংকার কথা, ‘ফুটবল আর কখনোই আগের মতো হবে না। আরেকটু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যাবে, সাধারণভাবে জীবনও আসলে আগের মতো হবে না আর। আমরা কেউই বর্তমান অবস্থার কথা কখনো ভুলতে পারব না। ফুটবল এবং সর্বোপরি খেলাধুলার ওপর এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। অর্থনৈতিকভাবে ফুটবলকে কঠিন সময় পাড়ি দিতে হবে, কারণ ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
এছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়া অনেক কঠিন হবে বলেও উল্লেখ করেছেন মেসি, ‘খেলা এবং অনুশীলন আবারও শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেক কিছুই বদলে গেছে। তবে শুধু খেলোয়াড়দেরই নয়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মেও বদলে যাওয়া এই সময়ের প্রভাব পড়বে।’
কাতালুনিয়া এবং আর্জেন্টিনার হাসপাতাল এবং চ্যারিটিগুলোতে এরই মধ্যে ১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অনুদান দিয়েছেন মেসি।
সাক্ষাৎকারে করোনার বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে লড়াই করা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।