পর্যায়ক্রমে ক্রিকেট শুরুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। করোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চিত হলেও বোর্ড চাচ্ছে আসন্ন শ্রীলংকা সফরের জন্য খেলোয়াড়রা প্রস্তুত হোক। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়ে শ্রীলংকা সফল হওয়ায় সফর আয়োজনে তারা প্রস্তুত দাবি করেছে শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি)।
বুধবার পর্যন্ত, কোভিড-১৯এ শ্রীলংকায় আক্রান্ত হয়েছে ১৬৪৩ জন এবং ১১ জন মারা গেছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮১১জন। আসন্ন সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে ১৩ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে অনুশীলন সেশন শুরু করেছে এসএলসি।
নির্ধারিত সময়ে সফর করার জন্য বিসিবিকে প্রস্তাব দিয়েছে লংকান বোর্ড। তবে বিসিবি এখনো কোনো সিদ্বান্ত নেয়নি। তবে বোর্ড খেলোয়াড়দের প্রস্তুত রাখবে। যে কারণে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব মাঠে খেলা ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে এবং এ জন্য কাজও শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কিছুর ওপড় নির্ভরশীল শ্রীলংকা সফর নিয়ে যদিও এখন পর্যন্ত কোন সিদ্বান্ত হয়নি। তবে আমরা চাই খেলোয়াড়রা প্রস্তুত থাকুক এবং তাদের স্বাভাবিক কার্যকলাপ শুরু করুক। বর্তমানে খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছে এবং কীভাবে পুনরায় ক্রিকেট শুরু করা যায় সেই পরিকল্পনা করছে।’
বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেন, শ্রীলংকা সফর নিয়ে এখনও কোন সিদ্বান্ত হয়নি এবং এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সরকারের অনুমতির ওপর।
তিনি বলেন, ‘বিসিবি এখনো এ বিষয়ে কোন সিদ্বান্ত নেয়নি। তবে এ জন্য কেবল বিসিবির সিদ্ধান্তই যথেষ্ট নয়। এই সফরের জন্য সরকারের অনুমতিরও প্রয়োজন রয়েছে।
সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, খেলোয়াড়দের প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়রা প্রস্তুত থাকবে, বিসিবি সব সময়ই এটা নিশ্চিত হতে চায়।
ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার রোডম্যাপ খোলাসা করে নিজাম উদ্দীন চৌধুরী জানান, ‘সংশ্লিষ্ট সবাই ইতোমধ্যেই সকলে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সর্ম্পকে জেনেছে এবং কিছু নিয়ম মেনে নিজেদের কাজ করছেন। খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে। আমরা সকলের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর চিন্তা করছি। স্টেডিয়াম এবং খেলোয়াড় ও অন্যান্য কোচিং স্টাফদের ব্যবহার্য্য সরঞ্জামাদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, যখন আমরা মনে করবো পরিস্থিতি অনুকূলে তখনই খেলোয়াড়দের এককভাবে অনুশীলনের অনুমতি দিবে বিসিবি।
তিনি জানান, ‘কয়েক দিন পরই আমরা স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের এককভাবে অনুশীলন করার অনুমতি দিব। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একই সময়ে তিনজন খেলোয়াড় অনুশীলন করতে পারে। আমরাও পুনরায় ক্রিকেট শুরু করতে মুখিয়ে আছি। তবে আমরা কোন ঝুঁকি নিতে রাজি নই।’