এতো উন্নয়নের বুলি, অথচ দেশে একটিও আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স নেই : রিজভী

মত ও পথ প্রতিবেদক

আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স
আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স। সংগৃহিত প্রতীকী ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, লকডাউনসহ বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির যখন উন্নতি ঘটছে তখন আমাদের দেশে ভয়াবহ আকারে অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সর্বোচ্চ পর্যায়ে। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে কাতরাচ্ছে করোনা রোগীরা এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। চারিদিকে এতো উন্নয়নের বুলি, অথচ বাংলাদেশে একটিও আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স নেই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

গণপরিবহনে ভাড়ার নৈরাজ্য চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায় করছে বাস কোম্পানিগুলো। নিরুপায় যাত্রা পথে নির্বিচারে পকেট কাটা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। আর কোথায় স্বাস্থ্যবিধি, কোথায় সীমিত যাত্রী? বাস তো আগের মতোই চলছে গাদাগাদি করে। বর্তমানে লঞ্চঘাট, বাস স্ট্যান্ড-টার্মিনাল এবং রাস্তাঘাটের দৃশ্য ভয়াবহ, কোথাও স্বাস্থ্যবিধির ন্যুনতম বালাই নেই।

রিজভী বলেন, কার্যত জনগণের জীবন নিয়ে বালখিল্য চলছে। নিজেদের দলীয় সিন্ডিকেটের পকেট ভরতে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালেন। ঘোষণা করেছিলেন মনিটরিং করবেন। কোথায় সেই মনিটরিং-মোবাইল কোর্ট? দুর্যোগকালে এমনিতেই সাধারণ মানুষ অর্থকষ্টে রয়েছে। কাজ-কর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট সবকিছু বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাসে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তার ওপর পরিবহন ভাড়ার এই অকল্পনীয় নৈরাজ্য যেন প্রবল ঘুর্ণিঝড়ের মধ্যে মধ্য সাগরে লাইফ বোটবিহীন জাহাজের মতো।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব নিশ্চয় জানেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের কোনো দেশে কোথাও গণপরিবহন ভাড়া এক টাকাও বাড়েনি। এমনকি প্রতিবেশী দেশ-যাদের সাথে এই সরকারের নিবিড় সম্পর্ক তারাও ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করার আহবান জানাচ্ছি।

রিজভী বলেন, এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি করার অপরাধে সরকারে একান্ত আপনজন সিকদার গ্রুপের কেউ গ্রেফতার না হলেও গুলি করতে ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়িটি আটক করা হয়েছে। এই সন্ত্রাসীবান্ধব সরকার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা দিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলার দুই আসামিকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে রক্ষা করার পর গাড়ি আটকের ঘটনা সত্যিই বছরের সেরা তামাশা। মানুষকে কতোটা বোকা ভাবলে সরকার এই ড্রামা করতে পারে! সন্ত্রাসীদের কিভাবে রক্ষা করতে হয় আওয়ামী লীগ তা জানে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে