ভারতে লকডাউন শিথিলে উদ্বেগ, একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ
ছবি : ইন্টারনেট

আক্রান্তের সংখ্যায় করোনায় বিধ্বস্ত ইউরোপের দেশ ইতালিকে ছুঁতে চলেছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩০৪ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৯১৯ জন। মারা গেছেন মোট ৬ হাজার ৭৫ জন।

universel cardiac hospital

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এ সংক্রমণ আরও বড় আকারে ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। লকডাউনের নিয়ম শিথিলে উদ্বেগ জানিয়েছেন তারা।

একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ডে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, লকডাউন ক্রমশ শিথিল হওয়ায় সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে। বুধবার মহারাষ্ট্র সরকারের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৪ হাজার ৮৬০ জন। কেবল বুধবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৬০ জন। ভারতে সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজ্যটিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৫৮৭ জন। এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৩২৯ জন সুস্থ হয়েছেন।

এদিকে রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৫১৩ জন।

এ নিয়ে দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬০০ জন। এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে ৬০৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৫৪২ জন।

সংক্রমণের দিক দিয়ে দিল্লির পরেই রাজস্থানের অবস্থান। সেখানে বুধবার বিকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৫২।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজস্থানে ২৭৯ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সেখানে ২০৯ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪৪ জন।

এদিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারস বলছে, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৯১৯ জন, যা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে ৭ম। এ পর্যন্ত ভারতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৮৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ১০৭ জন। হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ১ লাখ ৬ হাজার ৭২৪ জন। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৪৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে