হাবিবুল বাশার সুমন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। অধিনায়কও বটে। কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন। মাশরাফির আগে সাফল্যের বিচারে তিনিই দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক।
হাবিবুল বাশার যাদের সঙ্গে খেলেছেন, তাদের ভেতর থেকে বেছে নিয়েছেন নিজের সেরা একাদশ। আর এই একাদশে ঠাঁই হয়েছে আল শাহরিয়ার রোকন, আফতাব আহমেদের মতো সেভাবে বিকশিত হতে না পারা খেলোয়াড়রা। যথারীতি দলে আছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বাশারের দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও জাভেদ ওমর বেলিম। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা ব্যাটসম্যান। আর জাভেদকে নিয়ে বলতে গিয়ে হাবিবুল বলেছেন, ‘সে জানত, কীভাবে নতুন বল সামলাতে হয়।’ ওপেনার হিসেবে তার আরো বিবেচনায় ছিলেন মেহরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত, শাহরিয়ার নাফিস ও নাফিস ইকবাল।
তিনে তিনি বেছে নিয়েছেন আল শাহরিয়ারকে। নির্বাচকদের অধৈর্য্যের কারণে শাহরিয়ার তার সম্ভাবনার পুরোটা দিতে পারেননি বলে মনে করেন সুমন। বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হয়েছিল তার। চার নম্বরে অবধারিতভাবে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। আর পাঁচে সাকিব আল হাসান। এই দুটি জায়গা নিয়ে খুব আলোচনার সুযোগ নেই।
পাঁচ নম্বরে বাশার রেখেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে। শুধু তাকে দলে রেখেছেন, তাই নয়, মাশরাফি থাকা সত্ত্বেও হাবিবুলের এই দলের অধিনায়ক বুলবুল। ছয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আছেন মোহাম্মদ রফিক। আব্দুর রাজ্জাক হাবিবুলের সময়ই সেরা ফর্মে ছিলেন। কিন্তু হাবিবুল বাঁহাতি স্পিনারদের লড়াইয়ে রফিককে এগিয়ে রেখেছেন।
তিন পেসার হিসেবে আছেন মাশরাফি বি মর্তুজা, তাপস বৈশ্য ও শাহাদাত হোসেন। মাশরাফিকে নিয়ে বলতে গিয়ে হাবিবুল বলেছেন, ‘আমি স্লিপে দাঁড়িয়ে নাসের হোসেনকে ওর বিপক্ষে সংগ্রাম করতে দেখেছি। সে ছিল সত্যিকারের এক উইকেট টেকার বোলার।’
বাশারের নির্বাচিত বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ:
তামিম ইকবাল, জাভেদ ওমর, আল শাহরিয়ার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, আমিনুল ইসলাম (অধিনায়ক), আফতাব আহমেদ, মোহাম্মদ রফিক, মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা, তাপস বৈশ্য এবং শাহাদাত হোসেন।