করোনার জেরে ঘোষিত লকডাউনের কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থবির বিনোদন দুনিয়া। নাটক, টিভি সিরিয়াল, সিনেমা- সবকিছুর শুটিং বন্ধ ছিল। ফলে কাজ হারিয়ে আর্থিক অভাবে দিন কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নিম্ন ও মধ্যম আয়ের শিল্পীরা। অভাব থেকে বাড়ছে হতাশা। সেই হতাশা থেকে ইতোমধ্যেই ভারতে আত্মহত্যা করেছেন একাধিক অভিনয়শিল্পী। অনেকের সংসার চলছে দারুণ দুর্দশায়।
সে সকল হতাশাগ্রস্ত শিল্পীদের সাহস দিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রনিত রায়। যিনি সিনেমার চেয়েও বেশি পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সনি টিভির অপরাধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘আদালত’-এ কেডি পাঠক চরিত্রে অভিনয় করে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের নানা ওঠা-পড়া নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সেখানে বর্তমানে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়া শিল্পীদের উদ্দেশ্যে নানা উপদেশমূলক কথাও বলেন।
করোনাভাইরাসের কালবেলায় আর্থিক অনটন ও কাজের অভাবে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে যেভাবে একাধিক অভিনেতার আত্মহননের ঘটনা সামনে এসেছে তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন অভিনেতা। রনিত রায় বলেন, ‘নিজেকে শেষ করে দেয়া কোনো সমাধান নয়। ১৯৯২ সালে আমার প্রথম ছবি ‘জান তেরে নাম’ মুক্তি পায়। ব্লকবাস্টার হিট ছিল ছবিটি। এখনকার দিনের ১০০ কোটি টাকার ছবি। তারপর আচমকাই ৬ মাস কোনো কল নেই। ছোটখাটো কাজ করেছিলাম সে সময়। টানা ৪ বছর ধরে সেগুলোই করে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪ বছর ধরে আমি বাড়িতে বসেছিলাম। আমার একটা ছোট গাড়ি ছিল, কিন্তু তাতে পেট্রোল ভরানোর টাকা ছিল না। আমি মায়ের বাড়ি পর্যন্ত হেঁটে যেতাম। সেখানে গিয়ে খেতাম। আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। আমি কিন্তু নিজেকে মেরে ফেলিনি। আমি কাউকে বিচার করছি না। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সকলেই আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে। কিন্তু সংকটে পড়লে নিজেকে শেষ করে দেয়া কখনোই কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না।’