বয়সসীমা থাকছে না বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংক
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে বয়সের সীমা তুলে ‘দ্য বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

universel cardiac hospital

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আগের আইন অনুযায়ী, ৬৫ বছর পর কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকতে পারতেন না। সংশোধিত আইনে বয়সসীমার সেই ধারা তুলে দেয়া হচ্ছে।

এর আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরকে আরও দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে রাখতে আইন সংশোধন হবে।

সচিব জানান, এই আইন অনুযায়ী গভর্নরের কার্যকালের মেয়াদ চার বছর হবে তবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর পূর্তির পরে আগে যে উক্ত পদে আসীন থাকতে পারতেন না সেটা তুলে দেয়া হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৫ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে ৬৫ বছরের পর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তি কেউ পাঁচ বছরের পর পুনঃনিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য সর্বোচ্চ বয়সসংক্রান্ত ধারা জনস্বার্থে বিলুপ্তি করা হয়েছে।

আইনে পরিণত হচ্ছে ভার্চুয়াল আদালত অধ্যাদেশ

এদিকে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার (ভার্চুয়াল আদালত) জন্য এ সংক্রান্ত জারিকৃত অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হচ্ছে। এজন্য ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গত ৭ মে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করেছে সরকার। এখন সংসদ অধিবেশন বসছে, তাই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী আদালতে মামলার পক্ষ বা তাদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীদের এবং সাক্ষীদের সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে এক মাসের অধিক সময় ধরে কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যতীত আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং মানুষের সমাগম হয় এমন সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে