গোটা ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এই রাজ্যে ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা করোনার প্রথম আক্রান্ত দেশ চীনের থেকে বেশি।
চীনে মোট কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছিল ৮৪ হাজার ১৯১ জন।
এছাড়া মহারাষ্ট্রে করোনায় মারা গেছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে পাকিস্তানকে টপকে গেছে এই রাজ্য।
বিবিসি জানিয়েছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যটিতে মোট আক্রান্ত হলেন ৮৫ হাজার ৯৭৫ জন।
গোটা রাজ্যে দুই হাজার ৫৫০-এর বেশি পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আক্রান্তের সংখ্যায় এর পরই তামিলনাড়ু। সেখানে মোট আক্রান্ত ৩১ হাজার ৬৬৭ জন। রাজধানী দিল্লিতে মোট ২৭ হাজার ৬৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাটে মোট আক্রান্ত ২০ হাজার ৭০ জন।
মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, লকডাউন কার্যকর করার জন্য গোটা রাজ্যে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮৬৬ জনকে।
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এত কঠোর হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে ভারত এখন পাঁচ নম্বর স্থানে রয়েছে। দেশটিতে সাত হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, কোভিড ১৯-এর কারণে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ১৩৫ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬০ জনের। গুজরাটে এক হাজার ২৪৯ জনের।
এরপর রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে মোট ৭৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৪১২), পশ্চিমবঙ্গ (৩৯৬), উত্তরপ্রদেশ (২৭৫), তামিলনাড়ু (২৬৯), রাজস্থান (২৪০) ও তেলঙ্গানা (১২৩)।