চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনার তাণ্ডব চলছেই। অচেনা এই ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। এই সংখ্যায় পোঁছাতে ভাইরাসটির সময় লেগেছে সাড়ে পাঁচ মাস। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার জানায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৪ লাখ ৬ হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৮ জন। যার মধ্যে গতকাল একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৭ হাজার ৪০৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন। গত একদিনে মারা গেছেন ২৫০৮ জন।
চীন থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু। এরপর ইউরোপে তাণ্ডব চালায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। তবে এখন ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকা। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
করোনাভাইরাসের আক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ জন। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫ জনের। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ।
করোনায় শনাক্ত মানুষের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৩৭ হাজার। দেশটিতে করোনায় মোট ৩৭ হাজার ৩১২ জন মারা গেছেন।
করোনা রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ জনের।
যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। দেশটিতে মোট ২৮ লাখ ৭ হাজার ৩৯৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৫৯৭ জনে।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ হাজার ৪৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।