মনে হচ্ছে সেরা ফর্ম ফিরে পাচ্ছি: তাসকিন আহমেদ

ক্রীড়া ডেস্ক

তাসকিন আহমেদ
তাসকিন আহমেদ

এই মুহূর্তে লাইন ও লেন্থ ঠিক করার কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। তবে একই সময় নিজের বোলিংয়ের গতিও বাড়াতে চান তিনি। তার মতে, যত দ্রুত গতিতে বল করতে পারবেন ততই বিপজ্জনক বোলার হিসেবে ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন তাসকিন।

তাসকিন চান নিয়মিত ভাবেই প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে। যদিও তিনি জানেন যে, এমন দ্রুত গতিতে বল করতে হলে নিজের ফিটনেসও সেভাবে ধরে রাখতে হবে।

জাতীয় দলে ফেরার জন্য মরিয়া এই ফাস্ট বোলার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দ্রুত গতিতে বল করতে পারলে জানি আমি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারব। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি দ্রুত বল করতে পারতাম এবং প্রচুর উইকেটও পেয়েছি। সে সময় সবাই বিশেষ করে মাশরাফি ভাই আমাকে বলতেন সম্ভব দ্রুত বল করতে। আমিও জোরালো বোলিংকে উপভোগ করতাম।’

তবে দুর্দান্তভাবে শুরুর পর ইনজুরির কবলে পড়ে নড়বড়ে হয়ে যায় তাসকিনের ক্যারিয়ার। অবশ্য ইনজুরি কাটিয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে জায়গা লাভে সক্ষম হন।

ভারতের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে তাসকিনের বোলিং তোপে পড়ে স্বাগতিক ভারতের নামী দামী ব্যাটসম্যানরা পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলেন। ওই সিরিজের পর ধারণা করা হয়েছিল তিনি যে কোনো ফরম্যাটেই দলের সেরা বোলার হিসেবে নিজকে বসাতে পারবেন। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি।

আরেক দফার ইনজুরি তাকে দল থেকেই বের করে দেয়। এর পর থেকে ছন্দ ফিরে পাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান তাসকিন।

২০১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালে কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল তাসকিনের। এ সময় তিনি ফের আগ্রাসী মেজাজ ফিরে পান। ফলে জায়গা করে নেন বিশ্বকাপগামী স্কোয়াডে। তবে এরপর আরেক দফার ইনজুরি আরো একবার দলের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে তাসকিনকে।

এই পেসার বলেন, ‘এরপর থেকে আমি অপেক্ষা করছি জাতীয় দলে ফেরার। আমি সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। মনে হচ্ছে, আমি ফের আমার সেরা ফর্ম ফিরে পাচ্ছি।’

জাতীয় দলে আবারো প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকেই (ডিপিএল) বেছে নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু কোভিড-১৯ এর ব্যাপক সংক্রমণ অনির্দিষ্টকালের জন্য শুধু দেশের ক্রিকেটকেই থামিয়ে দেয়নি, হতাশ করেছে তাসকিনকেও।

বাংলাদেশের এই পেসার বলেন, ‘আমি শুধু একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছি। সেটি খুব একটা ভাল হয়নি। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কয়েক ম্যাচে খেলতে পারলেই আমি নিজের সেরা অবস্থান ফিরে পাব। করোনাভাইরাসের এই প্রকোপ আমাকে খুবই হতাশ করেছে। তবে আমি নিজের বাড়িতে এবং জিমে কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে অনুশীলন ও ম্যাচ অনুশীলন সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি এখনো ভাল অবস্থা অনুভব করছি। আমি যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে নিজের জোরালো বোলিং সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারতাম।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে