ভারতীয় বোর্ডের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত আটকেই রাখল আইসিসি। বুধবারও নিয়ামক সংস্থা ভিডিও কনফারেন্স করার পরে নির্দিষ্ট করে জানাল না যে, অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ করা হবে কি হবে না। আইসিসি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ নিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে বিশ্ব জুড়ে। সে দিকে চোখ রাখা হচ্ছে।
যত দেরি হবে বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, ততই আইপিএলের ভবিষ্যৎও মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। ভারতীয় বোর্ডে কারও কারও মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপ নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভাবেই। এমনিতেই বিদায়ী আইসিসি প্রধান শশাঙ্ক মনোহরকে নিয়ে প্রসন্ন নন ভারতীয় কর্তারা। সন্দেহ নেই যে, মনোহরকে নিয়ে ক্ষোভ বুধবারের পরে আরও বেড়ে যাবে।
বিদায় আসন্ন হলেও পরবর্তী আইসিসি প্রধান নির্বাচনে সক্রিয় মনোহর। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এহসান মানি অথবা সিঙ্গাপুরের কর্তাকে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি। যদিও পরবর্তী আইসিসি প্রধানের দৌড়ে ফেভারিট ইংল্যান্ডের কলিন গ্রেভস। করোনা উদ্বেগের মধ্যেও ভোট-যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে।
ভারতীয় বোর্ড চাইছিল, যত দ্রুত সম্ভব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাক। তা হলে তাদেরও আইপিএল নিয়ে অবস্থান ঠিক করতে বিলম্ব হয় না। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার লোকসান হবে আইপিএল না করতে পারলে। বিশ্বকাপ এবং আইপিএলের টিভি স্বত্ব অধিকারী একই সংস্থা। এ ব্যাপারে তাদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ।
১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ১৬ দলকে নিয়ে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ করতে অস্ট্রেলিয়াও খুব একটা আগ্রহী কি না, সংশয় রয়েছে। যদিও তাদের দেশে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং বিধিনিষেধও উঠতে শুরু করেছে। মেয়েদের বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডে।
তবে তা হবে পরের বছরে ফেব্রুয়ারি-মার্চে। আইসিসি চাইছে, আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করে দেখতে যদি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডে দু’টো বিশ্বকাপই করা যায়। নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যেই নিজেদের করোনামুক্ত দেশ ঘোষণা করেছে এবং সেখানে দর্শক উপস্থিতিতে খেলা চালু করা হচ্ছে।
আইসিসি-তে কারও কারও ইচ্ছা, যদি চলতি বছরে বিশ্বকাপ করা না-যায়, তা হলে ২০২১-এ ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়া হোক ২০২২-এ। অস্ট্রেলিয়ায় ২০২১-এ করা হোক, ভারতে হোক ২০২২-এ। ভারতীয় বোর্ডের এই প্রস্তাবে সায় নেই। কর মকুব নিয়েও চাপ তৈরি করছিল আইসিসি। সৌরভেরা কর সমস্যার সমাধান করার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আদায় করতে পেরেছেন এ দিনের সভায়।