বাজেট বক্তব্য শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম.মুস্তফা কামাল
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তব্য শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম.মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ সম্পন্ন হবে।

বিকাল তিনটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় স্পিকার অর্থমন্ত্রীকে চাইলে বসেও বাজেট পেশ করতে পারবেন বলে অনুমতি দেন।

universel cardiac hospital

বাজেট বক্তব্যের কিছু অংশ তিনি পঠিত বলে গণ্য করার অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া তিনি স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাজেট বক্তব্যের দুটি অংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করছেন।

বাজেট পেশের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশনে যোগ দেননি। তবে সিডিউল অনুযায়ী যোগ দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

বাজেট পেশের পর অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল অর্থবিল ২০২০ সংসদে উপস্থাপন করবেন। এরপর আজকের অধিবেশন শেষ হবে। পরে বাজেটের উপর আলোচনা শেষে ২৯ জুন সোমবার পাস হবে অর্থবিল। পরদিন ৩০ জুন মূল বাজেট এবং নির্দিষ্টকরণ বিল পাস হবে। এরপর আরেকটি বিরতি দিয়ে ৮ বা ৯ জুলাই একদিনের জন্য অধিবেশন বসে সেদিনই অধিবেশনের সমাপ্তি টানা হতে পারে বলে জানা গেছে সংসদ সচিবালয় থেকে প্রকাশিত অধিবেশনের ক্যালেন্ডার থেকে।

অধিবেশন শুরুর আগে প্রস্তাবিত বাজেট ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদন পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এক বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

এটি দেশের ৪৯তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এবার বিশেষ ব্যবস্থায় সংসদের বাজেট অধিবেশন হচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ব্যবস্থা। অধিবেশনে সংষদ সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ও গ্লাভস পরে অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। অধিবেশন কক্ষে কর্মরত কর্মচারীরাও মাস্ক, গ্লাভস ও মাথা ঢেকে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্পিকারের আসনের নীচে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের সংখ্যাও কমানো হয়েছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটের আকার ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বাড়ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে