হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক৷
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘উনার শারীরিক অবস্থা তো এমনিতেই সংকটাপন্ন ছিল। আজ আরও অবনতি হয়েছে। তবে আমরা সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাবেক এই মন্ত্রীকে বিদেশ নেয়ার বিষয়ে তারা কোনো মতামত দেননি। বিষয়টি তার পরিবারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ৪ জুন কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর থেকে তার জ্ঞান ফেরেনি। তবে দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষায় তার ফল নেগেটিভ এসেছে।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ১৪ দলের মুখপাত্রও। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্রসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় প্রথমবার স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার দ্বিতীয়বার স্ট্রোক করলেন। এজন্য তার ফিরে আসাটা জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।