বাজেট: উৎপাদন বাড়াতে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কারোপের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

পেঁয়াজ
ফাইল ছবি

দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের উৎসাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়।

তার আগে দুপুরে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয়া হয়। পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রচুর পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। কিন্তু আমদানিকৃত পেঁয়াজের শুল্কহার বিদ্যমান থাকায় দেশীয় পেঁয়াজ চাষিরা উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ভবিষ্যতে পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে চাষিরা নিরুৎসাহিত হতে পারে। তাই দেশের পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ প্রদান এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা আমদানি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ফারাক মাত্র দুই লাখ টনের। বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৩ লাখ টনের ওপরে। আর চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের। তারপরও শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে আট থেকে দশ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দুর্যোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বেশি। শতাংশ হিসাবে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। প্রতিবার বাজেটে ঘাটতি সাধারণত পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়। তবে এবার করোনার প্রভাবে প্রথমবারের মতো তা ছয় শতাংশ স্পর্শ করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে