ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি মহামারি করোনার সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য তাদের অংশীদার ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। খবর সিএনএন।
সিএনএন জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার মানুষের দেহে তা প্রয়োগ করবে অক্সফোর্ড। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এটি পুশ করবে তাদের অংশীদার অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এদিকে ব্রাজিলেও ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন করা হয়েছে।
গত ২ জুন দেশের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ব্রাজিল সরকার। স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচন করার কাজও শেষ হয়েছে সেখানে। হিউম্যান ট্রায়ালের অংশ হিসেবে শিগগিরই তাদের দেহে ভ্যাকসিনটি পুশ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ জানিয়েছে, তৃতীয় ধাপে আগামী আগস্টে ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালের অ্যাস্ট্রাজেনেকার অংশটি স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনটির এই ট্রায়ালের অর্থায়ন ও পরিচালনার কাজটি করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ।
তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষায় প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনটির একটি অথবা দুটি ডোজ পুশ করা হবে।
এদিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এবং মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিনটি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করবে। ব্যাপকভাবে পরীক্ষার পর ফলাফল অনুকূল হলেই তা বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
চীনের তৈরি করোনার একটি ভ্যাকসিনও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। এজন্য তারাও ব্রাজিলে ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী পেয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। বেশ কয়েকটি মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে। তবে কোনোটিই এখনো শেষ ধাপ পার করতে পারেনি।