শামীমাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

শামীমা

লন্ডন থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে ঢাকা। শামীমা বেগম কখনোই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না এবং তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অধিকার দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শামীমার বিষয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শামীমার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান হলো- ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম কখনোই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না; এ সংক্রান্ত তার কোনো অধিকারও নেই এবং তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়ারও কোনো অবকাশ নেই।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায় শামীমা ১৫ বছর বয়সে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগদান করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে।

ব্রিটিশ সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি সে দেশের হাইকোর্ট এবং স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনে আপিল করেন। ওই আদালতসমূহ শামীমা বেগমের আবেদন খারিজ করে দেন এবং তাকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে উল্লেখ করেন।

শামীমার বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা এখন পর্যন্ত যতবারই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে বিষয় নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রত্যেকবারই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শামীমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিক নন। তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করেছিলেন শামীমা বেগম। গত বছর শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাইলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন।

জানা যায়, বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ‘রজ’ নামের একটি শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করছেন শামীমা বেগম।

বর্তমানে ২০ বছর বয়সী শামীমা বেগম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই বান্ধবীসহ সিরিয়ায় পাড়ি জমান। তারা তিনজনই ছিলেন বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী। সিরিয়ায় পাড়ি দিয়ে শামীমা বেগম ডাচ বংশোদ্ভূত আইএস জঙ্গি ইয়াগো রিদাইককে বিয়ে করেন।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ এক সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমার সাক্ষাৎ পান। তখন শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান। এর কিছুদিন পর শামীমা একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। তবে কিছুদিন পর শিশুটির মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে