রোটেশন পদ্ধতিতে এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু নানা কারণে পাকিস্তানের পক্ষে এবারের এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। একে তো ভারতের বাধা, অন্যদিকে এখন করোনা ভাইরাসের ঝামেলা। সব মিলিয়ে পাকিস্তান এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আয়োজন করার মতো অবস্থায় নেই।
এ নিয়ে বহু আগে থেকেই আলোচনা চলে আসছিল। এমনকি করোনা ভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে থেকেই। এমনকি, এমনও আলোচনা উঠেছিল যে, বাংলাদেশ এশিয়া কাপের বিনিময়েই পাকিস্তান সফর করতে রাজি হয়েছে।
তবে, সর্বশেষ খবর হচ্ছে এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটা গোপন চুক্তি হয়ে রয়েছে। যা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টুর্নামেন্ট অদল-বদল করেছেন। তিনি শ্রীলঙ্কাকে বলেছেন, এবারের এশিয়া কাপ তারা আয়োজন করুক। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার আয়োজক হওয়ার সূচি ঠিক করা। পরিবর্তে সেবার পাকিস্তান আয়োজন করবে।
শ্রীলঙ্কাও এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভারত সিরিজের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট সামি সিলভা মিডিয়াকে জানিয়েছেন, তারা এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আয়োজনের ব্যাপারে প্রস্তুত। এখন বিষয়টা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পক্ষ থেকে অনুমোদন আসলেই হবে।
বিষয়টা জানার পর ঘোর আপত্তি তুলেছে ভারত। তারা কোনোভাবেই পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার এই অদল-বদল মেনে নিতে পারছে না। এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবেই তারা আপত্তি জানিয়েছে এসিসির কাছে।
গত সপ্তাহেই বৈঠক ছিল এসিসির। টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত সেই বৈঠক শেষ হয়েছে এশিয়া কাপের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই।
ওই বৈঠকের পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সভাপতি সামি সিলভা মিডিয়াকে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমরা ইতিমধ্যেই রাজি হয়েছি এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে। আমরা একটা অনলাইন মিটিংয়ের আয়োজন করেছি এবং তারা আমাদেরকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।’
কিন্তু এই সংবাদ শোনার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে খুব শক্তভাবে আপত্তি জানানো হয়েছে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরাসরি বলা হয়েছে, ‘এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি।’
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘কোত্থেকে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে, তা নিয়ে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। আমরা খুব অবাক হয়েছি যে, কত দ্রুত এ ধরনের রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে, এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের ব্যাপারে। বিসিসিআই খুব পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, এসিসি বৈঠকে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়নি। বোর্ড (বিসিসিআই) এ বিষয়ে পুরোপুরি পরিষ্কার ধারণা নেয়ার চেষ্টা করছে। প্রথমে আলোচনা চলে আসে শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে সফরের ব্যাপারে। বোর্ড বিবৃতি দিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। এখন সামনে এলো এশিয়া কাপের বিষয়টা।’