টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তা আইসিসির

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ফাইল ছবি

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই বলছেন, এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত হবে না এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়াও বলেছে এ বছর বিশ্বকাপ আয়োজন ‘অবাস্তব’ ও ‘কঠিন’।

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে ঝুলে আছে অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। করোনার জেরে চলতি বছর বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা দেখছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানিও।

universel cardiac hospital

বুধবার (১৭ জুন) এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে মানি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এটি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে চলতি বছর যদি টি-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হয়, তাহলে সেটি বায়ো-সুরক্ষিত পরিবেশে করতে হবে। যেভাবে ইংল্যান্ড সফরে থাকবে পাকিস্তান দল।’

‘এমন কঠোর আইন একটি বা দু’টি দলের ক্ষেত্রে সম্ভব। অনেকগুলো দলকে নিয়ে সম্ভব নয়। অনেকগুলো দল নিয়ে বিশ্বকাপ হবে। দলগুলো আসবে, বিভিন্ন হোটেলে থাকবে। কোন দর্শক থাকবে না। যা একদম একেবারেই অসম্ভব। আমার মনে হয় এই বছর আইসিসির কোন টুর্নামেন্টই আয়োজন করা সম্ভব না।’

বিশ্বকাপ নিয়ে যেকোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবে ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু দু’দফা বৈঠক করেও বিশ্বকাপ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আইসিসি। আগামী মাসে আবারও বৈঠক রয়েছে আইসিসির। ওই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত দিতে পারে আইসিসি বলে মনে করেন মানি।

তিনি বলেন, ‘আমার মতে টুর্নামেন্ট এ বছর আয়োজন করা উচিত হবে না। আইসিসিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনাই করছে। ২০২১ ও ২০২৩ সালেও আইসিসি টুর্নামেন্ট রয়েছে। মাঝের যেকোন বছরে টুর্নামেন্ট করা যেতে পারে।’

করোনাভাইরাসের মধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে তাতে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান মানি। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে এত বড় আসর আয়োজন করা অনেক বড় ঝুঁকির বিষয়। আয়োজক অস্ট্রেলিয়াও তাই বলছে। যদি টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়বে। ওই অবস্থায় কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে বেকাদায় পড়তে হবে। এমন ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না।’

ইতোমধ্যে জুলাই মাসের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব স্থগিত করেছে আইসিসি। অক্টোবরে টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যাপারে এখন আইসিসির সিদ্ধান্ত নিতে হবে । আইসিসি সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ক্রিকেট বোর্ডগুলো ও খেলোয়াড়রা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে