করোনাভাইরাস মহামারির ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং ভালো কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তিনটি প্রকল্পে ১.০৫ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
আজ শনিবার বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঋণের ফলে এক লাখ নারীসহ কমপক্ষে আড়াই লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে আর বেসরকারি বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন ডলার হবে। পাশাপাশি সরকারের প্রতিবছর ২০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মেরসি টেমবোন বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীটি দারিদ্র্য নিরসন ও জনমিতির সুবিধার সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অনেক উল্লেখযোগ্য অর্জনকে গভীরভাবে বিপদে ফেলেছে। এই প্রকল্পগুলি ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি বাড়ানোর সাথে সাথে আরও বেশি উন্নত কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষ বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে জনগণ ও অর্থনীতিকে ফিরে আসতে সহায়তা করবে।
৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ থেকে মূলধন নিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ (পিআরইডি) প্রকল্পর আওতায় প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ বেসরকারি বিনিয়োগ হবে। যেটা বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং সফটওয়ার পার্কে হবে। যা প্রায় ১.৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করবে। যার মধ্যে সফটওয়্যার পার্কে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০ শতাংশ চাকরি নারীদের জন্য।
এ ছাড়া অর্থনীতি ও ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা বিষয়ক প্রকল্পে ২৯৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যার ফলে সরকারী খাতের আইটি বিনিয়োগে ২০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ১ লাখ তরুণকে আইটির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পটি নারীদের উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে এক লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করবে, ডিজিটাল এবং বিপর্যয়কর প্রযুক্তিতে এক লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবে, এবং একটি ডিজিটাল নেতৃত্বের একাডেমী এবং শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র স্থাপন করবে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্থানীয় আইটি সংস্থাগুলিকে প্রচার করতে সহায়তা করবে। মহামারী থেকে দুর্বলতাগুলি হ্রাস করতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে, প্রকল্পটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং কৌশলগত শিল্পকে ডিজিটালাইজ করতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংক আজ এই দুটি প্রকল্প ঋণ ছাড়াও বাজেট সহায়তা হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থায়নটি বাংলাদেশ, নারী, যুবক এবং অভিবাসী শ্রমিকসহ নাগরিকদের জন্য বৃহত্তর কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে বলে জানান বিশ্বব্যাংক।