করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে সংসদের মেডিকেল সেন্টারে দুই দিনে ৬৫ জন এমপি নমুনা জমা দিয়েছেন। আগামী চার কার্যদিবসে সংসদে উপস্থিত থাকবেন এমন ১৭০ জন সংসদ সদস্য করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানা গেছে, আগামী চার কার্যদিবসে অংশ নেবেন এমন ১৭০ এমপিকে নমুনা পরীক্ষার জন্য চিঠি দেয়া হয়। শনিবার প্রথম দিনে ২০ জন এমপি নমুনা দিয়েছেন, রোববার দিয়েছেন আরও ৪৫ জন। দুই দিনে নমুনা দিয়েছেন ৬৫ জন সংসদ সদস্য। আগামীকালও এমপিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশনের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন। এতে অন্যরা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে এমপিদেরই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাচ্ছে সংসদ সচিবালয়।
সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনা করে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের ভাগ করে অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন এমপি অধিবেশনে অংশ নেন। প্রত্যেক এমপিদের আসনের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। এরপরও কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না সংসদ সচিবালয়।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তিন দিন নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। এটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে এমপিরা সাড়া দিচ্ছেন।’
চিফ হুইপ বলেন, অনেক এমপি নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী এলাকায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। যারা এখনো বাকি আছেন, তাদের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
এমপিদের আসন দূরত্ব বজায় রেখে বিন্যাস করা হলেও অধিবেশনের আগে-পরে একে অন্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও ঝুঁকি তৈরি হয়। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ঘনিষ্ঠজনেরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে বারণ করেছেন। কিন্তু তিনি তা শুনেননি বলে জানা গেছে।
চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন এমন দুজন এমপিসহ অন্তত ১৫ জন করোনা বাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ভাইরাসে আক্রান্ত।
এবার এখন পর্যন্ত বাজেট অধিবেশন তিন কার্যদিবস চলেছে। আগামী ২৩, ২৪, ২৯ ও ৩০ জুন সংসদের অধিবেশন চলতে পারে। অধিবেশনের চলবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে।