লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার জন্য চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কাজী পাপুলের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি বিরোধী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুদকের সদরদপ্তর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) প্রধান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মানবপাচার, অর্থপাচার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণ ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে কুয়েত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত ৬ জুন কাজী পাপুলকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে তাকে একাধিকবার রিমান্ডেও নিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, সংসদ সদস্য পাপুলের বিষয়ে দুদকে একটা অনুসন্ধান চলছে। ইতোমধ্যে তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে অনুসন্ধান কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিতে পারেন, যা অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ের রুটিন কাজ।
চিঠিতে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে অনুরোধ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
চিঠিতে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ‘জরুরি ভিত্তিতে’ অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে দিতেও অনুরোধ করা হয়।
এর আগে পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।