ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বদাই সাপ-নেউলের সম্পর্ক বিরাজ করে। সেটা রাজনীতিতে হোক কিংবা খেলাধুলায়। তবে সব ধরনের ঝামেলার উর্ধ্বে ভারত-পাকিস্তান যুগল শোয়েব-সানিয়ার বন্ধন। সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিয়ের সময় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের চোরাস্রোত, টেনশন, রেষারেষি নিয়ে উদ্বেগ ছিল না, জানালেন শোয়েব মালিক।
তিনি বলেছেন, ‘না, একেবারেই চিন্তিত ছিলাম না। বিয়ের ক্ষেত্রে সঙ্গী কোথাকার, দুই দেশের সম্পর্ক কেমন বা রাজনীতির কথা মাথায় আসে না। আর সেগুলো আমাদের দেখার বিষয় নয়। কাউকে ভালবাসলে তাকে বিয়ে করাই আসল। এর বাইরে সে কোন দেশের তা একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বৃহত্তর দৃষ্টিকোণে যদি দেখি, আমার অনেক ভারতীয় বন্ধু রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের কারণে আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। আর আমি ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ নই।’
২০১০ সালের ১২ এপ্রিল সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শোয়েব মালিকের। দু’জনে দুই দেশের। তার উপর সানিয়া খেলেন টেনিস। শোয়েব আবার ক্রিকেটার। এখনও একসঙ্গে খুব একটা সময় কাটাতে পারেন না দু’জনে। লকডাউনের সময় শোয়েব ছিলেন পাকিস্তানে। সানিয়া ছিলেন ভারতে। পাঁচ মাস স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে দেখা হয়নি শোয়েবের। অবশেষে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, শোয়েবের অনুরোধ মেনে নিয়ে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে ট্রেনিং থেকে।
পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি দলে আছেন শোয়েব। ২৮ জুন ইংল্যান্ডে রওনা হবে পাকিস্তানের ক্রিকেট দল। প্রথমে দুই সপ্তাহ ডার্বিশায়ারে কোয়রান্টিনে থাকবেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের প্রস্তুতি থেকে চার সপ্তাহের ছুটি পেয়েছেন শোয়েব। এই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন তিনি। ২৪ জুলাই তিনি ইংল্যান্ডে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।