করোনার সংক্রমণ বিবেচনা করে দেশের আরও পাঁচটি এলাকার বিভিন্ন জায়গা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২২ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৩ জুন থেকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন মেয়াদে সাধারণ ছুটি থাকবে। এর আগে ১০টি জেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গতকাল রোববার রাতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সাধারণ ছুটির আওতায় যে এলাকাগুলো নতুন করে যুক্ত হলো সেগুলো হলো: ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পৌরসভার সব ওয়ার্ড, রেড জোন ঘোষণা ১৬ জুন থেকে, বহাল থাকবে পরবর্তী ২১ দিন। সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ৭ জুলাই।
মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা, গঙ্গাধর পট্টি ও পশ্চিম দাশড়া এলাকা, সাটুরিয়া উপজেরার সাটুরিয়া ইউনিয়ন ও ধানকোড়া ইউনিয়ন, সিংগাইর উপজেলার সিংগাইর পৌরসভার ও জয়মন্টপ ইউনিয়ন। রেড জোন ঘোষণা ১৫ জুন থেকে, বহাল থাকবে ৪ জুলাই পযন্ত। সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ৪ জুলাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া ও কালাইশ্রীপাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া ও ৮নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকা। নবীনগর উপজেলার নবীনগর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হাসপাতালপাড়া পশ্চিমপাড়া, ৩নং ওয়ার্ডের টিএনটি পাড়া, ৪নং ওয়ার্ডের হাসপাতালপাড়া ও কলেপ পাড়া এবং ৮নং ওয়ার্ডের ভোলাচং দাসপাড়া এলাকা। কসবা উপজেলার কসবা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আড়াইবাড়ি, ৫নং ওয়ার্ডের শীতলপাড়া এবং ৭নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া এলাকা। রেড জোন ঘোষণা ১৩ জুন থেকে, বহাল থাকবে পরবর্তী ২১ দিন। সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ৪ জুলাই।
নরসিংদী জেলার মধাবদী পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড (উত্তর বিরামপুর ও দক্ষিণ বিরামপুর)। রেড জোন ঘোষণা ১১ জুন থেকে, বহাল থাকবে পরবর্তী ২১ দিন। সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ২ জুলাই। কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া পৌরসভার ১, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ১৮ ও ২০ নং ওয়ার্ড। ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ও চাঁদপ্রগাম ইউনিয়ন। ভেড়ামারা উপজেরার ভেড়ামারা পৌরসভার ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড। রেড জোন ঘোষণা ১৬ জুন থেকে, বহাল থাকবে পরবর্তী ২১ দিন। সাধারণ ছুটি থাকবে ২৩ জুন থেকে ৭ জুলাই।
এর আগে যেসব জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব জেলা হলো চট্টগ্রাম, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর ও মাদারীপুর। এসব জেলার সাধারণ ছুটিঘোষিত এলাকাগুলো হলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কাট্টলি (বিসিক শিল্প নগরী ছাড়া), বগুড়া পৌরসভার চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, নারুলী, জলেশ্বরীতলা, সূত্রাপুর, মালতিনগর, ঠনঠনিয়া, হাড়িপাড়ি ও কলোনী এলাকা। চূয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পরানপুর গ্রামের রিফিউজি কলোনি ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের ক্যাথলিক মিশন রোড, রূপশপুর, সবুজবাগ, মুসলিমবাগ, লালবাগ, বিরাইমপুর এবং শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কালীঘাট রোড ও শ্যামলী এলাকা। কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর, কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর এবং কুলাউড়া পৌরসভার মাগুর ও মনসুর এলাকা।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়ন (উত্তরে বালু ব্রিজ, দক্ষিণে কায়েতপাড়া, পূর্বে কায়েতপাড়া ও পশ্চিমে কাঞ্চন পৌরসভা)। হবিগঞ্জ পৌরসভার ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়ন, উবাহাটা ইউনিয়ন ও রানীগাঁও ইউনিয়ন এবং চুনারুঘাট পৌরসভা। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও মাধবপুর পৌরসভা এলাকা। মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকা। এছাড়া ছুটির তালিকায় আরও আছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরি, রেইসকোর্স, শাসনগাছা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা, কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, বাদুরতলা, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নানুয়ার দিঘিরপাড়, নবাববাড়ি চৌমুহনী, দিগম্বরীতলা এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টমটম ব্রিজ, থিরাপুকুরপাড় ও দক্ষিণ চর্থা এলাকা। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া, পিয়ারা ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন এবং অভয়নগর পৌরসভার ২, ৪, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। চৌগাছা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড, ঝিকরগাছা পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড, কেশবপুর পৌরসভার ১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড, যশোর সদর পৌরসভার ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং আরবপুর ও উপশহর ইউনিয়ন, বেনাপোল পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ও শার্শা ইউনিয়ন। ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়ন, অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়ন এবং মাদারীপুর পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ড, বাহাদুরপুর, দুধখালী, ঝাউদি, মস্তফাপুর, রাস্তি ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন। শিবচর পৌরসভার ১, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড, শিবচর দ্বিতীয় খণ্ড, বহেরাতরা দক্ষিণ, বাঁশকান্দি, ভদ্রাসন, কাদিরপুর, মাদবরেরচর ও পাঁচ্চরের ইউনিয়ন। কালকিনি পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড, ডাসার, গোপালপুর, আলীনগর ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন এবং রাজৈর পৌরসভার ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও বদরপাশা, আমগ্রাম, কবিরাজপুর ও হোসেনপুর ইউনিয়ন। তবে এই এলাকাগুলোর জরুরি সাধারণ পরিষেবা সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অবস্থিত সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে। তবে যথারীতি জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।