স্বাধীনতা-উত্তর দেশকে সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় সেই আরেক মীরজাফর মোশতাক ও জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সংসদের সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সংগ্রামের বর্ণনা দিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের এই ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে যে অর্জন সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীন হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।
জাতীয় জীবনে আওয়ামী লীগের অবদান ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের জন্য কথা বলে গেছে, মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছে এবং মানুষের জন্য কাজ করছে।
ভবিষ্যতেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের প্রতিজ্ঞা– এ দেশকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলব। জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করব। মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব। আজকের দিনে জাতির পিতার কাছে এটিই আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার যে আকাঙ্ক্ষা, তা আমাদের পূরণ করতে হবে। তার অস্তিত্ব আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। একসময় তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু মুছে ফেলা যায়নি। সত্যকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের মানুষ কিছু পেয়েছে।