মৃত্যু, এ উপত্যাকা জুড়ে শুধু লাশের সারি
মাঠঘাট; গোরস্থান; শ্বশান কিংবা বাড়ি বাড়ি
আজ এই উপত্যাকায় শুধু লাশের সারি।
এখানে যমদূতের ভয়ে পালিয়ে গেছে কার্ত্তিক
সিগ্ধ কোমল বাতাসের বদলে মৃত্যুর ভাইরাস দিকবিদিক –
আর আমরা, ভয় নিয়ে তাকিয়ে দেখি মাস্ক বন্ধি প্রিয়ার মুখ !
কি ঘৃণ্য এ বেঁচে থাকা, কি আজব; কি অদ্ভুত !
তুমি কি এ উপত্যাকায় একদিন থেকে যাবে ?
দেখে যাবে – বেঁচে থাকা কতটা অস্বস্তিকর।
এখানে তুমি মৃত্যুর ভয়ে পালিয় বেড়ানো মুসা কে দেখতে পাবে,
কিংবা শুনবে যীশুর চীৎকার, তুমি কি আমায় ছেড়ে গেলে – হায় ঈশ্বর; হায় ঈশ্বর ?
হাঁ; আমি এ উপত্যাকায়ই বেঁচে আছি,
বেঁচে আছি বললে কেমন জানি শোনায় – মূলত টিকে আছি,
সকাল, বিকাল, রাত শুধু মৃত্যুর গন্ধ পাই
আমরা নিশ্বাসের দূরত্বে আছি, খুব কাছাকাছি।
ও তুমি তো জানতে চেয়েছিলে ঈশ্বরের কথা ?
মনে হয় আর এখানে নেই !
এক সময় এই উপত্যাকা তার খুব প্রিয় ছিল
রক্ষা করবে বলে কত শপথ ও করেছিল সে’ই।
আগে অনেক বার করে ও ছিল শুনেছি
এবার চলে গেছে, এখন আর নেই !
তবে কিছু মানুষ, জানো – কি অদ্ভুত শক্তি নিয়ে লড়ছে
অন্য কে ধরে রাখছে, বাঁচিয়ে রাখতে যেয়ে নিজে মরে যাচ্ছে !
তাঁরা সাদা পোশাকে চোখ মুখ ডেকে যেনো ঈশ্বরের বিবর্তন দেখাচ্ছে,
এক দিন এ সমাজ যাদের কসাই বলে ডেকেছিলো – আজ বাঁচবে বলে তাদেরই কোলে মাথা রাখছে ।।