দেশে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই : রিজভী

মত ও পথ প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতি ও লুটপাট করার জন্যই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকীসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রিজভী আহমেদ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আব্দুল আলিম নকী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে গুমের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে গুম হচ্ছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা হচ্ছে। এসব অপকর্মে রাষ্ট্র জড়িত। মানববিধ্বংসী কাজের সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত। ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর চলছে নৃশংস আক্রমণ, অত্যাচার ও অমানবিক কর্মকাণ্ড। ভিন্নমতকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রের সকল যন্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে। যেখানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত আছে সেখানে এ কাজগুলো হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় বহিঃপ্রকাশ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা হারিয়ে যাচ্ছে, গুম হচ্ছে। একের পর এক নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে। লাখ লাখ জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি গণতন্ত্রের জন্য কথা বলার জন্য। তাহলে আজকে এ পরিস্থিতি কেন? মিছিল করা যায় না, কথা বলা যায় না। আর কথা বলতে গেলে, ভিন্নমত প্রকাশ করলে সে গুম হয়ে যাচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এটা অমানবিক রাষ্ট্রের একটি দৃষ্টান্ত। এখানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায় না।

দেশে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা থাকে জেলখানায় আর সরকারি দলের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট করে সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি এই নিষ্ঠুর দুর্নীতি-লুটপাটের জন্যই বিরোধী দলকে দমন করছেন? গুম করছেন? মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়া হচ্ছে? গোটা রাষ্ট্রের সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্যই কি এগুলো করছেন? একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু রেখেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন দেন না। রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করছেন। এটা চলতে পারে না।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছেন, তারা সত্যের পথে নেয়ার পথে আছেন। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনুপ্রেরণায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। তিনি নিজে নির্যাতন সহ্য করেছেন, যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, তারপরও মাথা নত করেন নাই। আপনারা মনোবল হারাবেন না। যতই বাধা-বিপত্তি আসুক, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবোই।

জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, সহ-সভাপতি মাসুদ খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, দফতর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে