বৈশ্বিক মহামারী কোভিড ১৯-এ টালমাটাল যুক্তরাষ্ট্র। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও রোজ হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন দেশটিতে। ইতিমধ্যে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ১৫২ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়ে গেছে ২৫ লাখ।
এই তথ্য দিয়েছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারস।
ওয়ার্ল্ডওমিটারসের রোববার দুপুর ১২টার পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ১৫২ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখ ৮১ হাজার ৪৩৭ জন। চিকিৎসাধীন ১২ লাখ ৯ হাজার ৫৮৯ জন।
আর যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্যানুযায়ী, রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮ হাজার ৭০৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ জনের।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ২৫ লাখ ৮ হাজার ৭০৫ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৮ জন।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে শনিবার রেকর্ডসংখ্যক মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা খুলে দেয়ার পর করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির এমন তথ্য আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শনিবার একদিনেই নতুন করে রেকর্ড সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন সেখানে শনাক্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯ হাজার।
টেক্সাসেও চলতি সপ্তাহে সংক্রমণের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হয়েছে। এ অবস্থায় টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বারগুলোকে বন্ধ রাখতে এবং রেস্তোরাঁগুলোকে আসন সংখ্যা ৫০ শতাংশে নামিয়ে এনে সীমিত পরিসরে চালু রাখতে বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে নিউইয়র্কে। সেখানে ৩১ হাজার ৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে; আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৮ জন।