মহামারি করোনাকালেও থেমে নেই মানুষের জালিয়াতি, অনিয়ম। এবার খোদ এ জালিয়াতি ও অনিয়ম পাওয়া গেল রাজধানীর সুপরিচিত মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। এ সময় এক ভুয়া চিকিৎসকসহ ৪ জনকে জেল-জরিমানা দেয় পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান ও নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে র্যাব আজ দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবার জীবন যখন এমনিতেই ঝুঁকির মুখে। এ অবস্থায় ভুয়া চিকিৎসকের অপতৎপরতা নজরদারি করছে গোয়েন্দা সদস্যরা। ভুয়া চিকিৎসক থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা কর হয়। এ সময় মিজানুর রহমান নামে একজন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ থাকায় দুজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
র্যাব জানায়, মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মিজানুর রহমান নামে একজন ডাক্তার ১২ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি ইউনানির সাময়িক অনুমোদন নিয়েই দিয়ে আসছিলেন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা। কিন্তু ইউনানি নীতিমালা অনুযায়ী এটা করা যায় না। এছাড়াও তিনি প্রেসকিপশনে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে উল্লেখ করে আসছিলেন। শুধু তাই নয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, এমফিল ড্রিগ্রির বিষয়ও তুলে ধরছিলেন। ইউনানি চিকিৎসক হয়েও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ও বিভিন্ন রোগের জন্য পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন। এ অপরাধে তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও হাসপাতালের অ্যাসিসটেন্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ইসালামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন (টিএআর) সার্জিক্যাল আইটেম এবং ওষুধ রাখার দায়ে মো শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামে দুজনের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম জেল দেওয়া হয়েছে।