রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি লঞ্চ ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে ধারণা করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেছেন, ‘সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’
আজ সোমবার বিকালে লঞ্চ দুর্ঘটনার স্থান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌদুর্যোগ তহবিল থেকে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে দাফনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এবং নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। সকাল নয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়।
এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, আটজন নারী এবং তিনজন শিশুর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি দুই মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এখন উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে।