চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য নিজের সীমান্ত খুলে দিল নেপাল। নির্মাণ কাজের কাঁচামাল, পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছ দেশটি। খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য চীনের সঙ্গে নিজেদের দুটি সীমান্ত টাটোপানি ও রসুয়াগাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৮ই এপ্রিল খুলে দেওয়া হয় টাটোপানি সীমান্ত। এবার খোলা হল রসুয়াগাড়ি সীমান্ত। নেপাল চীনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের জন্য বিশেষ চুক্তি হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে ঠিক কবে সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে, তার উল্লেখ নেই।
রাসুয়া এলাকার মুখ্য জেলা কর্মকর্তা হরি প্রসাদ পন্ত জানান, দুই দেশের মধ্যে সদর্থক আলোচনার পরেই সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চীনের কার্গো ট্রাক ফিরে গেলে নেপালি চালক ও খালাসিরা সেই পণ্য ফের দেশের ভিতরে নিয়ে আসবে। প্রাথমিকভাবে দিনে মোট চারটি ট্রাক যাতায়াত করবে। পরে ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। ভৈরবাহা ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির জন্য কাজ দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে নেপাল। জুলাই মাসের মাঝামাঝি এই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, লকডাউনের জন্য সময়সীমা বেড়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। সীমান্তের তিনটি বিতর্কিত অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তভুক্ত করেছে নেপাল। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারত বলেছে, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।