করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা অনুকূলে আসার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত শেনজেন এলাকার দেশগুলোতে বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে শেনজেনভুক্ত দেশগুলোর ভিসা সুবিধা পেতে যাওয়া দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। তবে ৫৪ দেশের ওই তালিকায় নাম রয়েছে ভারত ও মিয়ানমারের।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজ জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সীমানা খুলে দিচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে শেনজেনভুক্ত দেশগুলো যেসকল দেশকে ভিসা সুবিধা দেবে তার তালিকা প্রকাশ করেছে।
কিন্তু ৫৪টি দেশের সেই তালিকায় ভারত ও মিয়ানমারের নাম থাকলেও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের নাম নেই। ভিসা সুবিধা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন ভুটানের নাগরিকেরাও।
৫৪টি দেশ ছাড়া তালিকার বাইরে থাকা দেশগুলোর নাগরিকেরা শেনজেনভুক্ত এসব দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। করোনা পরিস্থিতি এবং প্রত্যেক দেশে মহামারি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তালিকাটি হালনাগাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ কর্মকর্তারা।
১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে মানুষের যাতায়াত সহজ করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোকে একীভূত করে এই শেনজেন অঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এই চুক্তির পর থেকে দেশগুলোর মধ্যে কোনো সীমানা নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে শেনজেন ভিসা সুবিধার আওতায় এই অঞ্চলের অধিভূক্ত সবগুলো দেশ ঘুরে আসা যায়।
বর্তমানে শেনজেন দেশগুলি হচ্ছে- অস্ট্রিয়া, আইসল্যান্ড, ইতালি, এস্তোনিয়া, গ্রিস, চেক রিপাবলিক, জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্পেন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও হাঙ্গেরি।
শেনজেন ভিসা তালিকায় নাম আছে যেসব দেশের
১. আলবেনিয়া
২. আলজেরিয়া
৩. অ্যান্ডোরা
৪. অ্যাঙ্গোলা
৫. অস্ট্রেলিয়া
৬. বাহামাস
৭. ভুটান
৮. বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
৯. কানাডা
১০. চীন
১১. কোস্টা রিকা
১২. কিউবা
১৩. ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া
১৪. ডোমিনিকা
১৫. মিসর
১৬. ইথিওপিয়া
১৭. জর্জিয়া
১৮. গায়ানা
১৯. ভারত
২০. ইন্দোনেশিয়া
২১. জ্যামাইকা
২২. জাপান
২৩. কাজাখস্তান
২৪. কসোভো
২৫. লেবানন
২৬. মৌরিশাস
২৭. মোনাকো
২৮. মঙ্গোলিয়া
২৯. মন্টিনিগ্রো
৩০. মরক্কো
৩১. মোজাম্বিক
৩২. মিয়ানমার
৩৩. নামিবিয়া
৩৪. নিউজিল্যান্ড
৩৫. নিকারাগুয়া
৩৬. পালাউ
৩৭. প্যারাগুয়ে
৩৮. রুয়ান্ডা
৩৯. সেইন্ট লুসিয়া
৪০. সার্বিয়া
৪১. দক্ষিণ কোরিয়া
৪২. তাজিকিস্তান
৪৩. থাইল্যান্ড
৪৪. তিউনিশিয়া
৪৫. তুরস্ক
৪৬. তুর্কমেনিস্তান
৪৭. উগান্ডা
৪৮. ইউক্রেন
৪৯. উরুগুয়ে
৫০. উজবেকিস্তান
৫১. ভ্যাটিকান সিটি
৫২. ভেনেজুয়েলা
৫৩. ভিয়েতনাম
৫৪. জাম্বিয়া
গত ১১ জুন ইউরোপীয় কমিশনের শেনজেন সীমান্ত ১৫ জুন থেকে পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করে। এতে ইউরোপীয়রা মহামারির আগে শেনজেন অঞ্চলে যেভাবে অবাধ চলাচল করতে পারতেন, সীমান্ত খুলে দেয়া হলে একইভাবে অবাধ চলাচলের সুপারিশ করা হয়।
ইউরোপীয় কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে ইইউর সদস্য দেশগুলোতে তৃতীয় দেশের নাগরিকদের প্রবেশ শুরু করতে দেয়া উচিত। তৃতীয় দেশের মহামারি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ধারাবাহিক এবং আংশিকভাবে এটি করা উচিত।
সূত্র: গালফ নিউজ।