করোনা : সংক্রমণে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনার ভয়াল রূপ
করোনার ভয়াল রূপ। ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। করোনার শীর্ষ আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই এখন ভারতের অবস্থান।

জুলাইয়ে রেকর্ড সংক্রমণ হবে বলে আগেই গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে আভাস দিয়েছিলেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। তাদের সেই আভাসই অনেকটা সত্যি হচ্ছে। গত কয়েকদিনে দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছেন।

গত সপ্তাহে প্রতিদিনের হিসেবে ভারতে ১৮-২০ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছিল। কিছুদিন যাবৎ সেটাই ২২ থেকে ২৪ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। রবিবার একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছুঁয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭০০ জনের। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮৯১ জন।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মহারাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্ত এবং সংক্রমণের সংখ্যা সর্বাধিক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পেরিয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। দেশটির রাজধানী শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক লাখ লোক।

করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৯২৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৬৯ জনের। করোনায় মোট মৃতের দিক থেকেও প্রথমে রয়েছে দেশটি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬৪ জন।

করোনায় আক্রান্তের থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ৪ হাজার ৫৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজার ৯০০ জনের। আর এ পর্যন্ত ব্রাজিলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৫ জন।

সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪১ জনে। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৭১ জন। মারা গেছেন ৩৩৮৫ জন। আর একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে