শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা অবনতির শঙ্কা

মত ও পথ প্রতিবেদক

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় কয়েক দিন ধরে তুলনামূলক কম বৃষ্টি হচ্ছে। ভারতেও বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলক কম। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আগামী শুক্রবার থেকে আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, আগামী ১০ জুলাই শুক্রবার থেকে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হতে পারে। তাতে করে ওই দিন থেকেই বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে। কারণ মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে উঠলে বাংলাদেশ ও ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এর ফলে দেশের নদ-নদীর পানি আবার বাড়তে পারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ মত ও পথকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয়। আগামী ১০ জুলাই থেকে তা সক্রিয় হতে পারে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হবে। এতে নদ-নদীর পানি পুনরায় বাড়তে পারে। বিশেষত রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। নাটোর ও নওগাঁয় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকবে। এ ছাড়া গঙ্গা, পদ্মা ও মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল থেকে কমছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণে থাকা ১০১টি স্টেশনের মধ্যে পানি বেড়েছে ৩৭টিতে, কমেছে ৬৩টি স্টেশনে, অপরিবর্তিত রয়েছে একটি স্টেশনে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উদয় রায়হান বলেন, গঙ্গা, পদ্মা, মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতিও কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে আগামী ১০ জুলাই থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলায় পুনরায় বন্যা হতে পারে। এ ছাড়া মধ্যাঞ্চলে জামালপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর বন্যাকবলিত হতে পারে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু এখন উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল থাকায় দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হলেও তা ছিল পরিমাণে কম। সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৬৭ মিলিমিটার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে