বিশ্বব্যাপী চলছে কোভিট-১৯ বা করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। যার প্রাদুর্ভাব বিগত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম দেখা দিয়েছে। ছোঁয়াচে এই রোগটি মানব সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় ধরনের বিপদ এইজন্য যে এর ওষুধ বিজ্ঞানীরা এখনও আবিষ্কার করতে পারেননি। এটির চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। সারা দুনিয়াব্যাপী আমাদের ডাক্তাররা যেভাবে চিকিৎসা করছেন সেটি একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তেমনিভাবে বৈজ্ঞানিকরাও বসে নেই তারা কাজ করছেন কীভাবে এটির প্রতিষেধক আবিষ্কার করা যায়।
অদৃশ্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাদ যায়নি আমাদের বাংলাদেশও। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলায় শনাক্ত হচ্ছেন করোনা রোগী। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যে টার্নিং নিচ্ছে তা খুবই আশঙ্কাজন। এখন পর্যন্ত এ জেলায় ১ হাজার ৩৩৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩৭ দিনে সংক্রমণের হার ৯০ শতাংশের বেশি। এছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে গত জুন মাসেই মারা গেছেন ১৯ জন। আমরা মনে করি, এই সংক্রমণ হার জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া শুধু সরকারি উদ্যোগে ঠেকানো অসম্ভব। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি মানুষের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনই একমাত্র উপায় না। লকডাউনের চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে এই ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষার মন্ত্র হলো সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার আর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।