করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ চার মাস পর ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ফিরেছে। অনেক ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো অভ্যন্তরীণ ক্রিকেটের সূচনা ঘটিয়েছে। কিন্তু উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। ক্রিকেট তো দূরে করোনা পরিস্থিতির জন্য অনুশীলনে নামতে পারছে না ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে প্রথম শ্রেণির লিগ খেলা ক্রিকেটাররা।
খেলোয়াড়দের অর্থ সংকটের কথা মাথায় রেখে ক্রিকেট ফেরাতে কোয়াবের বৈঠক হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত এসেছে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে সর্বপ্রথম ডিপিএল দিয়েই ফিরবে ক্রিকেট। এছাড়া ক্লাবগুলোকে ক্রিকেটারদের চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছে কোয়াব।
করোনা প্রভাবে মাত্র একে রাউন্ড মাঠে গড়ানোর পরই স্থগিত হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় লিগ আয়োজনতো দুরের কথা অনুশীলনই শুরি করতে পারেনি ক্রিকেটাররা। ঘরোয় লিগই আয়ের মূল উৎস এমন ক্রিকেটাররা করোনার সাথে মানিয়ে নিয়ে মাঠে নামতে রাজি।
আর এ কারণেই ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ারে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সাথে বৈঠকে বসে তারা। ডিপিএলের বাকি অংশ দিয়েই যেন ঘরোয়া লিগ ফেরানো হয় বিসিবির কাছে সেই দাবিই করছে তারা। এদিকে নিয়মানুসারে লিগ শুরুর আগে চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও সেটি পায়নি বেশিরভাগ ক্রিকেটার। লিগ শুরু আগে সেই অর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিও ছিল ক্রিকেটারদের।
একদিন পরই ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) ক্লাবগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ৫০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দিতে। মাঠে ফেরার মতো অবস্থা তৈরি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই লিগ শুরু হতে পারে তাই সেভাবেই ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে ক্লাবগুলোকে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কক্সবাজার ও বিকেএসপিতে যথাযথ নিরাপত্তা মেনে ম্যাচ আয়োজনের ভাবনাও আছে তাদের।
গতকাল (০৮ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলেন, ‘গতকাল আমি কোয়াবের সভায় উপস্থিত ছিলাম যেখানে বেশ কিছু জাতীয় দল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারও ছিল্ আমরা ডিপিএল শুরুর সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা বলছি। এই মুহূর্তে আমরা কোন নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি না। তবে চাই ক্লাবগুলো যেন ক্রিকেটারদের ফিটনেস বজায় রাখতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্লাবগুলো যেন ১৫ দিনের নোটিশে লিগ শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে।’
ইনাম আরো বলেন, ‘আমি কক্সবাজার ও বিকেএসপিকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে পরামর্শ দিয়েছি। এবং সব খেলোয়াড় ও ক্লাব মডারেটর থাকার ব্যবস্থা তার যাবে সেখানেই। এদিকে ব্রাদর্স ইউনিয়ন ও পারটেক্স খেলোয়াড়রা আর্থিক শঙ্কার কথা জানিয়েছে, এখনো তারা কোন অর্থ পায়নি। এবার সরাসরি চুক্তিতে ক্লাবগুলো ক্রিকেটার দলে নেওয়া সত্ত্বেও লিগ শুরুর আগেই ৫০ শতাংশ অর্থ প্র্রদানের নির্দেশ দিয়েছে সিসিডিএম।’
ডিপিএল দিয়েই দেশের ক্রিকেট ফিরবে বলে জানিয়েছেন কাজী ইনাম। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি দেশে পুনরায় ক্রিকেট ফিরবে ডিপিএলের মাধ্যমে। আর এটা আমাদের বোর্ড সভাপতিও এর আগে কয়েকবার বিভিন্ন আলোচনায় বলেছে।’