১২৫ বাংলাদেশি যাত্রীকে নামতে দিল না ইতালি

মত ও পথ প্রতিবেদক

কাতার এয়ারওয়েজ
ফাইল ছবি

কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে দোহা থেকে ইতালি যাওয়া ১২৫ বাংলাদেশি যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে দেয়নি দেশটি। ওই বিমানে করেই তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে ইতালির ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের ওই বিমানটি অবতরণ করে।

ইতালির জাতীয় দৈনিক ইল মেসসাজ্জেরোর অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটিতে থাকা বাংলাদেশি যাত্রীদের ইতালিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তাদের কাতারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে সোমবার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করে ইতালি কর্তৃপক্ষ। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করলেও কাতারের সঙ্গে ফ্লাইট চালু আছে ইতালির। সেই হিসেবে কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাওয়া ওই ফ্লাইটটির বাংলাদেশি যাত্রীদের ইতালি প্রবেশে কোনো বাধা থাকার কথা ছিল না।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ওই ১২৫ বাংলাদেশি ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি তাদের বিমান থেকেও নামতে দেয়া হবে না। কেবলমাত্র জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন এমন যাত্রীরা নামতে পারবেন। ওই বিমানেই স্থানীয় সময় বিকালে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

এদিকে বুধবার ইতালির বেশি কিছু জাতীয় দৈনিকে বাংলাদেশের রিজেন্ট হাসপাতালের ভুয়া করোনা পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ ছেপেছে। দৈনিক ইল মেসসাজ্জেরো প্রিন্ট সংস্করনে প্রথম পাতায় শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট বিক্রয় হয়!

সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশ করাদের মধ্যে যাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে তাদেরকে আইসোলেশন অথবা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর বাকিদের হোম কোয়ান্টাইনে রাখা হয়েছে রোমের হিলটন হোটেলে।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে জাপানে চার্টার্ড ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে থেকে জাপানে যাওয়া একটি ফ্লাইটে চারজন যাত্রী কোভিড১৯ পজিটিভ হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ থেকে জাপানে রওনা দেবার আগে তাদের কাছে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছিল।

ঢাকা থেকে চীনের গুয়াংজু যাতায়াতকারী চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সাসপেন্ড করা হয়েছে জুন মাসের ২২ তারিখে। চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে গুয়াংজু যাবার পর ১৭ জন যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েকটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

যেসব দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেশি হচ্ছে তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। মে মাসের ২৭ তারিখ থেকে জুনের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে গিয়েছিল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে