ইতালি থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিদের হজ ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে

মত ও পথ প্রতিবেদক

হজ ক্যাম্প
ফাইল ছবি

দেশ থেকে যাওয়ার পর ইতালিতে করোনা শনাক্ত হওয়ায় দেশটির সরকার ফেরত পাঠিয়েছে ১৪৭ জন বাংলাদেশিকে। শুক্রবার ভোররাতে বিমানযোগে দেশে আসলে বিমানবন্দর থেকে তাদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নেয়া হয়েছে আশকোনার হজক্যাম্পে। যেখানে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা আছে।

এর আগে মার্চ মাসে ইতালি থেকে ঢাকায় আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের হজক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হলেও পরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যার যার বাসায় পাঠানো হয়।

সেসময় ক্যাম্পের পরিবেশ নোংরা, এবং থাকার অনুপযোগী-এমন অভিযোগ তুলে সেখানে থাকতে অস্বীকৃতি জানান ইতালি ফেরতরা।

জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে ইতালি থেকে ফেরত পাঠানো কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি ঢাকায় এসে পৌঁছে। পরে সেখানে থাকা ১৪৭ জন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের উদ্দেশ্যে আশকোনা হজক্যাম্পে পাঠানো হয়।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান জানান, শুক্রবার ভোররাতে আসা বিমানটির যাত্রীদের নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

আশকোনা কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক স্ক্যানিং শেষে ফেরত আসা কোনো যাত্রীর মধ্যে কোভিড-১৯ এর কোনো ধরণের উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, ক্যাম্পে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ক্যাম্পে থাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা হবে যে ফেরত আসা যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে কিনা।

যদিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে হজ ক্যাম্পে থাকা একজন জানিয়েছেন, ফেরত আসার পর তাদের কোনো ধরনের পরীক্ষা করা হয়নি। এদিকে কখন পরীক্ষা করা হবে সেসম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি তাদের।

গত ৭ জুলাই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সব ফ্লাইট এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করে ইতালি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাংলাদেশিদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট রোমে যাওয়ার পর বিমানটিকে ফেরত পাঠায় ইতালি কর্তৃপক্ষ।

পরে ইতালি থেকে ফেরত পাঠানো এই বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফেরত আনার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার জানিয়েছেন, উপসর্গ না থাকলে ফেরত আসা ব্যক্তিরা বাড়িতে থাকতে পারবে। কিন্তু তাদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করা হবে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে