সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে করোনা ডেডিকেটেড সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বরাদ্দ ও খালি শয্যা সংখ্যা নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশের সুপারিশ করা হয়েছে। করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিদিন ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ পারসোনাল শাখা-১ এর উপসচিব এবং করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ফোকাল পয়েন্ট শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৩৮ জনের। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু সে অনুপাতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর মধ্যে রাজধানী ঢাকার করোনা হাসপাতালে সাধারণ শয্যা রয়েছে ৬ হাজার ৩০৫টি। গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ১ হাজার ৫২৩ জন। শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ৭৮২টি।
রাজধানী ঢাকার করোনা হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১৪২টি। এর মধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছে ৮৬ জন, আর খালি আছে ৫৬টি শয্যা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনা হাসপাতালে সাধারণ শয্যা রয়েছে ৬৫৭টি। গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ৩৩৪ জন, শয্যা খালি আছে ৩২৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনা হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, রোগী ভর্তি রয়েছে ২০ জন। খালি আছে ১৯টি।
সারাদেশের করোনা হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৪৫টি। রোগী ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ৫৯৬ জন। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯৪টি। আইসিইউ ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯১ জন। এ হিসেবে ১১ হাজার ৩৪৯টি সাধারণ শয্যা এবং ২০৩টি আইসিইউ শয্যা ফাঁকা রয়েছে।