বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
এক শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনিসহ সকল সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ নারী নেত্রী এবং সৎ রাজনীতিবিদকে হারালো। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
গত ৬ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহারা খাতুন এমপিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ড নেয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।
এর আগে গত ২ জুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় সাহারা খাতুনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে চিরকুমারী সাহারা খাতুন তৃতীয় মেয়াদ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনার ২০০৯-১৩ সরকারে প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন তিনি।