যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনে উপনির্বাচন পেছানোর আইনগত কোনো নুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, সাংবিধানিক কারণেই করোনার মধ্যে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যশোর-৬ আসনের (কেশবপুর) উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সিইসি এসব কথা বলেন।
গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন ফাঁকা হয়। সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিন এবং দৈব-দুর্বিপাকের কারণে সম্ভব না হলে আরও ৯০ দিন- সবমিলিয়ে ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও আগামী ১৪ জুলাই এই দুই আসনে আটকে থাকা উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
সিইসি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দিতে নয়, ইসির কাছে নির্বাচন পেছানোর আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তবে রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিতে পারেন। আমরা রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তিনিও বলেছেন নির্বাচন না করার কোনো সুযোগ নেই।’
সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘করোনা আছে, আরো অনেকদিন থাকবে। তার জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা যাবে না। দৈনন্দিন কাজ ও নির্বাচনের মতো কাজ এর মধ্যেই করতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা চালাতে হবে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের মাস্ক খুলে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।’
কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্ব করেন। সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া যশোর-৬ উপনির্বাচনের প্রার্থী আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদার ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমানও সভায় উপস্থিত ছিলেন।