করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ফেলে দিয়ে পরে মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীর পর এবার গ্রেফতার করা হলো প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে।
আজ রোববার দুপুরে তাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তদন্তে জেকেজির প্রতারণার সঙ্গে ডা. সাবরিনা আরিফের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
ডিসি হারুন অর রশিদ জানান, ডা. সাবরিনা সরকারি কর্মকর্তা হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারেন না। তাকে চার দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিভিন্ন মাধ্যমে সাবরিনাকে জেকেজি চেয়ারম্যান হিসাবে পরিচয় দেয়া হলেও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের এই চিকিৎসক দাবি করেছেন, জেকেজির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি শুধু জেকেজিকে করোনার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্প্রতি ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে তার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠার পর শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে জেকেজি’র স্বত্বাধিকারী আরিফুল হক চৌধুরীর আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় জেকেজি গ্রুপকে কোভিড পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।