দলের ভেতরে বর্ণচোরা সেজে যারা অর্থসম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত তার সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। জনগণের বুকের গভীরে রয়েছে এর শেকড়। দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ভাগ্য বদলাতে দেয়া যাবে না। দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীদের পেছনে রেখে, আওয়ামী লীগে আশ্রয়ী, লোভী, ষড়যন্ত্রকারীদের দলে আর সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর, এ বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার স্ব-প্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদঘাটন করে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কার্যক্রম, স্বাস্থ্যখাতসহ যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে জনগণকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক কাজ করছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রবিশেষ সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ এবং জীবিকার নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকাল উদযাপন করছে। তারা জনগণের দুর্দশা, অসহায়ত্ব চোখে দেখে না। বিএনপি সার্কাসের হাতির মতো নেতিবাচকতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া আর চিরাচরিত মিথ্যাচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ এখন আর তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না। বিএনপির মরিচা ধরা কৌশল আজ অকৌশলে রূপ নিয়ে বুমেরাং হচ্ছে। দেশের মানুষ এখন দোষারোপের রাজনীতি পছন্দ করে না। অথচ বিএনপি এমন মিথ্যাচার করে যে, তার জবাব না দিয়েও পারা যায় না। এখন রাজনীতি হতে হবে মানুষকে বাঁচানো ও বৈশ্বিক সংকট করোনার সংক্রমণ রোধ।