হিমঘরে শুয়ে আছেন এন্ড্রু কিশোর। দেখতে দেখতে আট দিন পেরিয়ে গেল। সবাইকে কাঁদিয়ে ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলা গানের সবার প্রিয় গায়ক। মৃত্যুর পর কী কী করতে হবে সব পরিকল্পনা নিজেই করে গেছেন তিনি। এখন চলছে তারই বাস্তবায়ন।
এন্ড্রু কিশোরের শেষ বিদায়ের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল (১৫ জুলাই) তার নিজের দেখানো স্থানেই তাকে সমাধিস্থ করা হবে।
এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুর সময় তার দুই ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। বাবার মৃত্যু সংবাদ শুনে দেশে ফিরেছেন তারা। করোনার কারণে তাদের দেশে ফিরতে বেশ বিলম্ব হয়েছে।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে ছুটে আসেন এন্ড্রু কিশোরের ছেলে সপ্তক। রাজশাহীতে এসেই ছুটে যান হাসপাতালে বাবাকে দেখতে। কফিনে মোড়ানো বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। গতকাল সোমবার (১৩ জুলাই) রাজশাহী শহরে বাবার কাছে এসে পৌঁছেন মেয়ে সঙ্গা।
ছেলে-মেয়েদের জন্যই এই কয়দিন অপেক্ষা করেছেন এন্ড্রু কিশোর। শেষ দেখা হয়েছে, এবার চিরনিদ্রায় যাবেন তিনি।
এদিকে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধার জন্য এন্ড্রু কিশোরকে নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বলে শোনা গেছে।
১৫ জুলাই সকাল ১০টায় প্রথমেই রাজশাহী শহরের স্থানীয় চার্চে নেওয়া হবে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ। এরপর তাকে নিয়ে আসা হবে রাজশাহীর কালেক্টরেট মাঠের পাশে খ্রিষ্টানদের কবরস্থানে। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় যাবেন এদেশের প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর।