বাস-ট্রাকে, হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহেদ: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব মহাপরিচালক

হাসপাতালে অভিযানের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম। বিভিন্ন সময় বাস-ট্রাকে, ব্যক্তিগত গাড়িতে এবং পায়ে হেঁটে অনেক জায়গায় গেছেন। সবশেষ নৌকায় ভারত পালিয়ে যাবার সময় তাকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে র‌্যাব সদরদপ্তরে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান এলিট ফোর্সটির মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

universel cardiac hospital

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সাহেদের প্রতিষ্ঠানে অভিযানের পর থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। একেক দিন একেক জায়গায় থেকেছেন। বিভিন্ন সময় ঢাকা থেকে কক্সবাজার, কুমিল্লা গেছেন বাসে। আবার ট্রাকে ও পায়ে হেঁটে সাতক্ষীরা গেছেন। সেখান থেকে তিনি নদী পার হয়ে ভারত যাবার চেষ্টা করছিলেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি কবে ঢাকা ছেড়েছেন এবং এই নয় দিনে তিনি কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক প্রতারণার মামলা আছে। রিজেন্টের ঘটনার পর তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন। আমরা তাকে ফলো করেছি। এ কারণে আজ আমরা সফল হয়েছি। সাহেদ বিভিন্ন সময় চতুরতার সঙ্গে বিভিন্নজনের সঙ্গে ঘোরাফেরা করেছেন।

তিনি এত বড় প্রতারক, এ সময় রাষ্ট্রের এত বড় বড় ব্যক্তিদের সঙ্গে কীভাবে মিশেছেন জানতে চাইলে র‌্যাব ডিজি বলেন, তিনি একজন প্রতারক, ধুরন্দর প্রতারক। এভাবেই বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে উঠাবসা করতেন। এভাবেই তিনি বিভিন্ন কৌশলে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের কাছে মেলামেশা করেছেন। আজকে এজন্য তার এই পরিণতি।

ক্ষমতাধর কেউ তাকে এই ধরনের কাজে প্রশয় দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমরা তাকে আজকেই আটক করেছি। তার সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এবিষয় দেখবেন।

পালিয়ে থাকার সময় কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এমন প্রশ্নে ডিজি বলেন, পালিয়ে থাকার সময় আমরা তাকে ফলো করছিলাম। আগে থেকেই যদি সব তথ্য পেতাম তাহলে আগেই তো গ্রেপ্তার করতাম।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে