হলফনামায় মিথ্যা তথ্য : পাপুলের এমপি পদ বাতিল চেয়ে ইসিতে চিঠি

মত ও পথ প্রতিবেদক

কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল
কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। ফাইল ছবি

মানবপাচারে দায়ে কুয়েতে গ্রেফতার কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। পাপুল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় নির্বাচন কমিশনে এ চিঠি দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্থায়ী বাসিন্দা আবুল ফয়েজ ভূইয়া।

universel cardiac hospital

১৪ জুলাই স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আবুল ফয়েজ বলেন, গত ৬ মার্চ ২০২০ রোজ শুক্রবার জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘এমপি পাপুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়, শহিদ ইসলাম পাপুল নির্বাচনী হলফনামায় স্নাতকোত্তর পাশ উল্লেখ করেন, কিন্তু সার্টিফিকেট প্রদান করেন স্নাতক ডিগ্রির।

চিঠিতে আবুল ফয়েজ উল্লেখ করেন, শহিদ ইসলাম পাপুল কখনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেননি, সেখানে স্নাতক ডিগ্রির যে সার্টিফিকেট জমা দেয়া হয়েছে তা ভুয়া এবং বানানো। নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করে তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতাই হারিয়েছেন। কিন্তু কর্তব্যরত রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক প্রার্থিতা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন এবং তিনি নির্বাচিতও হয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। তাছাড়া শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন এবং তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। অতএব হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করায় শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে আসন নং-২৭৫ , লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আবুল ফয়েজ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আবেদনটি আইনজীবীর মাধ্যমে ইসিতে দিয়েছি। তিনি তো নির্বাচিত হয়েছেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে। তাই দেখি ইসি কী ব্যবস্থা নেয়। ইসি যদি এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে অন্য চিন্তা করব।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেফতার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠান ‘মারাফি কুয়েতিয়া’র অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুয়েতের এক আদালত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে