খুলনায় গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

খুলনার মশিয়ালীতে গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে সাইফুল (১৮) নামে আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। এদিকে হামলার ঘটনার পর খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাতে গুলিবিদ্ধ সাইফুলের অপারেশন করার সময় সে মারা যায়। তার নাকের পাশে গুলি লেগেছিল।

এর আগে নজরুল ও গোলাম রসুল নাম দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, মশিয়ালী এলাকার বাসিন্দা হাসান আলী মাস্টারের ছেলে জাকারিয়া (খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক), জাফরিন (খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি) ও মিল্টনের সঙ্গে স্থানীয়দের মশিয়ালী আলিয়া মাদরাসা মসজিদের কমিটির বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

এলাকাবাসী চায় না মসজিদের কমিটিতে তারা অন্তর্ভুক্ত হোক। অন্যদিকে তারা জোর করে হলেও কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খানজাহান আলী থানা পুলিশ জাকারিয়া গ্রুপের একজনকে গ্রেফতার করে। এতে জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টন মরিয়া হয়ে ওঠে। তারা রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়।

একপর্যায়ে জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন গ্রুপের লোকেরা গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। গুলিতে নজরুল ও গোলাম রসুল ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে ফুলতলা উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। আহতদেরকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কয়েকটি মসজিদে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীদের একত্রিত করে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টনের বাড়ি ঘেরাও করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

খুলনা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র কানাই লাল সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন গ্রুপের গুলিতে দুইজন নিহত ও ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে