চাঁদ দেখা সপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগস্ট পালিত হবে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা। যেটি আমাদের দেশে কোরবানির ঈদ নামেই বেশি পরিচিত। প্রতিবছরই এই উৎসবের পূর্বে সারাদেশের মহানগর, শহর, গ্রামগঞ্জে বসে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট। তবে এই মুহূর্তে দেশে করোনা নামক অদৃশ্য ভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় এই প্রাণবিনাশী ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। মত ও পথ মনে করে, আমাদের মতো দেশে বিশেষ করে শহর-নগরে পশুর হাট বসলে কোনোভাবেই শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা সম্ভব হবে না। পশুর হাট বসলে করোনা সংক্রমণের হারের সঙ্গে বাড়তে পারে মৃত্যুর হারও, একইসঙ্গে বাড়বে দেশের প্রান্তিক মানুষের ভোগান্তি। এমতাবস্থায় বৃহদাকারে সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসিয়ে জনসমাগম না করে অনলাইনে কিংবা সরাসরি গৃহস্থের কাছ থেকে পশু ক্রয়ের উপর অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কোরবানি বিধান পালন করতে হবে।
ঈদুল আজহার শিক্ষাই হচ্ছে আত্মত্যাগে উজ্জীবিত হওয়া, মানবিক কল্যাণ সাধন করা, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করা। সম্প্রতি অর্থনীতিবিদদের এক গবেষণা দেখা যায়, পূর্বের দরিদ্র মানুষের সঙ্গে করোনায় আরও প্রায় পৌনে দুই কোটি দরিদ্র মানুষ যোগ হবে, অর্থাৎ ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। আমরা মনে করি, করোনা মহামারির এ সংকটকালে কোরবানি শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে সমাজের বৃত্তবানদেরকে দুস্থ জনগণের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা ও অর্থ সহায়তা করতে এগিয়ে আসা উচিত।