এবারের লা লিগার শিরোপা স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদেরই দখলে যাবে তা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। অপেক্ষাটা শুধু ছিল বৃহস্পতিবার রাতের। যে কারণে সমর্থকদের ধৈর্য ধারণ করতে বলছিল রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
উল্লাসে যেন কেউ করোনার নিষেধাজ্ঞা অমান্য না করে সেদিকে জোর অনুরোধ জানিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে হারলে বা ড্র করলে অপেক্ষা করতে হবে রোববার রাতের ম্যাচ পর্যন্ত।
এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছিল জিনেদিনে জিদানের দলটি।
তবে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা সহ্য হয়নি সার্জিও রামোসদের। রাতেই আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের ৩৪তম লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা।
ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে দুই বছর পর স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা জিতে নিল জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভিয়ারিয়ালের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্বাগতিক দল। কারভাহাল, লুকা মদ্রিচ ও করিম বেনজেমা গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে লুকা মদ্রিচের পাস থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে চলতি লিগে নিজের ২০তম গোলটি করেন ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা।
বিরতির পর ৫৩ মিনিটে রিয়ালের কারভাহালের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক সের্হিও আসেনহো।
৭৭ মিনিটের সময়ে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হন রামোস। রেফারির বাঁশিতে স্পটকিকে বল রাখেন রামোস। কিন্তু গোলবার বরাবর শট না নিয়ে আলতো টোকায় পাস বাড়িয়ে দেন বেনজেমার উদ্দেশ্যে, আর সেটিকে দ্রুত জড়ান বেনজেমা।
এমন পেনাল্টি শটে হতভম্ব হয়ে পড়ে ভিয়ারিয়ালো খেলোয়াড়রা। তাদের তীব্র আপত্তির কারণে গোলটি বাতিলের খাতায় চলে যায়।
ভিয়ারিয়ালের যুক্তি রামোস শট করার আগে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন বেনজেমা।
রেফারি তা মেনে ফের শট নিতে বলেন রামোসকে। কিন্তু এবার স্পটকিক নেন বেনজেমা নিজেই। লিগে নিজের ২১তম গোল করেন।
২-০তে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ম্যাচের শেষদিকে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ভিয়ারিয়াল। ৮৩ মিনিটের সময় একটি গোল শোধ করেন ভিসেন্তে ইবোরা। তবে সমতায় আর ফিরতে পারেনি তারা। ততোক্ষণে খেলার নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়ে যায়।
করিম বেনজেমার জোড়া গোলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করে গ্যালাকটিকোরা।