মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও তার সহকারী একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা যায়, আবদুল হাইয়ের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে ৫ জুলাই তাকে ঢাকা সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবদুল হাইয়ের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রাষ্ট্রপতির নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম।
আবদুল হাই মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবির সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ’প্রবাহ’র সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রয়াতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে জানা গেছে।