চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী নিয়েও জালিয়াতি করেছিলেন সাহেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তে ভুয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাই নয়, চিকিৎসকদের সুরক্ষায় সরবরাহ করা মাস্ক ও পিপিইতেও জালিয়াতি করেছেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম। এসব সুরক্ষা সামগ্রী ছিল একেবারেই নিম্নমানের। আলবার্ট গ্লোবাল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি লিমিটেড নামে তার কোনো পোশাক কারখানা না থাকলেও কেবল ফেসবুক পেইজ খুলে এ নামে এসব সামগ্রী সরবরাহ করেছিলেন তিনি। সাহেদ বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে আছেন। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন তিনি।

শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন গণমাধ্যমকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মো. সাহেদ। এসব তথ্যে অনেক ঘটনা উন্মোচন হচ্ছে। তারা মনে করছেন আরও কিছু দিন গেলে সাহেদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে।

এদিকে সাহেদ যাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় নানাভাবে প্রতারণা করেছেন তারা একে একে অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। এসব ভুক্তভোগীদের দেওয়া অভিযোগ থেকেও মিলছে সাহেদের নানা অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, আলবার্ট গ্লোবাল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি লিমিটেড নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলেছিল শাহেদ। আসলে বাস্তবে এই নামে কোনও কারখানা বা প্রতিষ্ঠান নেই।

শাহেদের এই প্রতিষ্ঠান করোনা সংক্রমণের প্রথমদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নিম্নমানের মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ করে। এই প্রতিষ্ঠানের কথা বলে কাজ নিয়ে শাহেদ বিভিন্ন কারখানায় সাবকন্ট্রাক্টে মাস্ক ও পিপিই বানানোর কাজ দিতো। সেখান থেকে এসব সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে সরবরাহ করতো।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে